মহাকাশে দীর্ঘ এক মাস নয় দিনের যাত্রা শেষে ভারতের মহাকাশযান চন্দ্রযান-৩ চাঁদের বুকে সফল অবতরণ করে বুধবার। যা ভারতকে বিশ্বের এলিট ‘স্পেস ক্লাবে’ জায়গা করে দেয়।
চন্দ্রযানের চন্দ্রপৃষ্ঠ স্পর্শ করার মাহেন্দ্রক্ষণে জোহানেসবার্গে বসে পুরো ঘটনা প্রত্যক্ষ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছিলেন তিনি।
সেই সফর শেষে গ্রিসে যান। এরপর সেখান থেকে আজ শনিবার (২৬ আগস্ট) দেশে ফিরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করলেন মোদি। তাদের অভিনন্দন জানালেন।
এ সময় চন্দ্রযান-৩ এ চাঁদের মাটিতে অবতরণস্থলের নাম ‘শিবশক্তি’ রাখেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে চন্দ্রযান-২ চাঁদের যে জায়গায় ভেঙে পড়েছিল, সে জায়গারও নামকরণ করলেন তিনি। নাম রাখলেন ‘তেরঙা’।
এছাড়া চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের জন্য ২৩ আগস্টকে ‘জাতীয় মহাকাশ দিবস’ হিসেবেও ঘোষণা করেন মোদি।
শনিবার সকালেই বেঙ্গালুরু পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। চন্দ্রযান-৩-এর সাফল্যের নেপথ্যে থাকা ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে ইসরোর কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন।
পথেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন মোদি। সেখানে ইসরো বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার কথা জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘বেঙ্গালুরুতে অবতরণ করেছি। আমি ইসরো সেই সব বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি যারা চন্দ্রযান-৩ অভিযানকে সফল করে ভারতকে গর্বিত করেছেন। ’
বুধবার ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণ করে চাঁদের মাটিতে। বিক্রম চাঁদের মাটি ছুঁতেই হাততালি দিয়ে ভারতের পতাকা হাতে নিয়ে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানান নরেন্দ্র মোদি। ভারতের চাঁদে পৌঁছনোকে ‘একটি নতুন যুগের সূচনা’ বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সুদূর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
মোদি বলেন, ‘আমরা দেখলাম ইতিহাস তৈরি হতে। জীবন ধন্য হয়ে গেল। এমন ঐতিহাসিক ঘটনা গোটা জীবনের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এই ঘটনা নয়া ভারতের প্রমাণ, এই ঘটনা সমস্যার মহাসাগর পার করার মতো, এই মুহূর্ত ভারতের উদীয়মান ক্ষমতার প্রমাণ। আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে আমরা তা সফল করেছি।’