দৈনিক শিক্ষাডটকম, চবি : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের নিজ বাসভবনের নিচে পথরোধ করে চাকরির জন্য পায়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতা। এই ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
সাবেক উপাচার্যের পায়ে পড়া মইনুল ইসলাম রাসেল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি ও একাকার গ্রুপের নেতা।
ফুটেজটিতে দেখা যায়, সাবেক উপাচার্য লিফটে করে বাসার নিচে নামেন। লিফটের সামনে আগে থেকে দাঁড়িয়ে থাকা শাখা ছাত্রলীগের কয়েকটি গ্রুপের নেতারা উপাচার্যের পথরোধ করেন। এ সময় রাসেল চাকরির জন্য সাবেক উপাচার্যের পায়ে পড়েন। একই সময়ে আরেক সহসভাপতি ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রপের নেতা মুজিবর রহমানকেও পায়ে পড়তে দেখা যায়। এ দুজন ছাড়াও এক্সপ্রেস গ্রুপের আরেক সহসভাপতি রোমেল হোসেনও সেখানে ছিলেন। সবাইকে দেখা গেছে পায়ে ধরে চাকরির জন্য অনুনয় বিনয় করতে।
ভিডিওতে আরও দেখা যায়, রাসেল পায়ে পড়লে সাবেক উপাচার্য বলতে থাকেন, আমার চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমার পা ছাড়ো। এ ছাড়া তিনি তার বাসার নিচ থেকে চলে যেতে বলেন এবং পুলিশ ডাকবেন বলে জানান। এরপর তিনি গাড়িতে উঠে গেলে রাসেল তার গাড়ির সামনে এসে পথরোধ করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে গত ২০ মার্চ চবির সাবেক উপাচার্যের চট্টগ্রাম শহরের কাজীর দেউড়ি এলাকা সংলগ্ন নিজ বাসভবনে। তবে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে গত সোমবার রাতে।
জানা গেছে, ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি ২০ মার্চ সকালের। তখনো শিরীণ আখতার উপাচার্যের দায়িত্ব হস্তান্তর করেননি। ঘটনার পর ক্যাম্পাসে গিয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিরীণ আখতার দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে তার স্থলাভিষিক্ত হন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।
চাকরির জন্য পায়ে পড়ার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রাসেল বলেন, গত বছর ৩০ জানুয়ারি শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই কমিটি বাতিল করতে উপাচার্যকে অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) গ্রুপের নেতা মুজিবর রহমান বলেন, তদন্ত কমিটির বিষয়ে কথা বলতে আমি রাসেলের সঙ্গে উপাচার্য ম্যামের বাসায় গিয়েছিলাম।
পায়ে ধরার বিষয়ে জানতে শিরীণ আখতারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভি করেননি।
নিয়োগের বিষয়ে এর আগে গণমাধ্যমকে শিরীণ আখতার বলেছিলেন, ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে জিম্মি করে এসব নিয়োগে সই নিয়েছেন।