চাকরি দেয়ার নামে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগের ঠাকুরগাওয়ের পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ফজলুল হক ও প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। চাকরি দেয়ার শর্তে বিদালয়ের অনুদান বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েও চাকরি দিতে না পারায় এবং টাকা ফেরত দিয়ে টালবাহানা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে মামলায়।
রোববার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগীর বড় ভাই আব্দুল হাকিম (৪৫)। তিনি সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের পাহাড়ভাঙ্গা গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে।
বিচারক নিত্যানন্দ সরকার অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ১৬ ফ্রেব্রুয়ারি প্রহরীসহ ৬ টি পদে নিয়োগের জন্য পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। বাদির ভাই সোহেল রানা আবেদন দাখিল করেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের সভাপতি বাদিকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠান। সেখানে প্রহরীর চাকরির জন্য বিদ্যালয়ের সভাপতি ১২ লাখ টাকা অনুদান দাবি করেন। ওই সময় প্রধান শিক্ষক কফিল উদ্দীনও সভাপতির কথায় সায় দিয়ে বলেন যে ওই পরিমান টাকা দিলে তার ভাইয়ের চাকরি দেয়া হবে। গত ২১ মার্চ (মঙ্গলবার) ঠাকুরগাঁও সরকারি মহিলা কলেজে ওই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যে ফলাফলে ভুক্তভোগীর ভাইয়ের নাম ছিল না। বিষয়টি নিয়ে বাদি হাকিম ওই স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে ১২ লাখ টাকা ফেরত চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করে। দিনের পর দিন তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছিলেন ভুক্তভোগী পরিবার। এক পর্যায়ে টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি।
বাদি আব্দুল হাকিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমি আমার গরু ছাগলসহ জমি বিক্রি করে পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিকে ১২ লাখ টাকা দিয়েছি। এখন আমি সর্বস্বান্ত। প্রশাসনের কাছে আমি এর সুবিচার চাই।
এ বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডভোকেট ইন্দ্রনাথ দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পাহাড়ভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ নিয়ে বাদি আব্দুল হাকিম তার ভাইয়ের নিয়োগের জন্য স্কুলের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ১২ লাখ টাকা দিয়েছিলো। ওই নিয়োগে তাকে চাকরি দিতে পারেনি। পরবর্তীতে আব্দুল হাকিম টাকা ফেরত চাইলে তারা টাকা দিতে অস্বীকার করে। তাই আব্দুল হাকিম ২ জনের নামে এই মামলা দায়ের করেছেন।