নওগাঁর পত্নীতলায় ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতাকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল শনিবার উপজেলার নজিপুর বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মো. মঞ্জুর আলম (৩৯) নামের ওই যুবক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। তিনি নজিপুর মাদরাসা পাড়ার বাসিন্দা।
জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মো. মোস্তফা জামান জানান, অভিযুক্ত মঞ্জুরুল আলম এবং মো. রেজাউল করিম নামের আরেকজন মিলে প্রতারক সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করতো। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে তারা দরিদ্র মানুষের সঙ্গে এরকম প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড করছেন। মঞ্জুরুলের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। সে সুযোগ কাজে লাগিয়ে চাকরির প্রলোভন ও মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে তিনি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন। মো. রেজাউল করিম তার সহকারী হিসেবে কাজ করতেন। তার দায়িত্ব ছিলো ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করা।
২০২০ খ্রিষ্টাব্দে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চাকরি দেওয়ার জন্য মঞ্জুরুল ভুক্তভোগী লিপি পারভিনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নেন। পরে রেজাউল করিমের মাধ্যমে তাকে ভুয়া নিয়োগপত্র দেন। লিপি পারভিন নিয়োগপত্র নিয়ে ওই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে সেটা ভুয়া বলে জানতে পারেন। পরে তিনি বাদী হয়ে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ করলে র্যাব-৫ এর আভিযানিক দল তাকে অনেক ভুয়া নথিপত্রসহ আটক করে। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও র্যাব সূত্রে জানা গেছে।