জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত অস্থায়ী কর্মচারীরা।
রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৪২ জন অস্থায়ী কর্মচারী আছেন। যাদের দৈনিক ৪০০ টাকা হারে মজুরি দেয়া হয়। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বলে জানান তারা। এ ছাড়া তাদের নেই কোনো ছুটি। এক দিন ছুটিতে গেলে ওই দিন আর কোনো টাকা পান না।
একাধিক অস্থায়ী কর্মচারী জানান, চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিনবার প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই দাবিতে মানববন্ধন করা হলে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার অস্থায়ী কর্মচারীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থায়ীকরণের আশ্বাস দেন। সর্বশেষ চলতি বছরের ২ জানুয়ারি চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন তারা। তখন প্রশাসনের আশ্বাস ছিল ৬ মাসের মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন হল, বিভাগ ও অফিসগুলোতে নিয়োগ দেয়া হবে। মৌখিক আশ্বাসের ভিত্তিতে অনশন স্থগিত করেন তারা। তবে আশ্বাসের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও তার কোনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আবারও আন্দোলনে বসেছেন তারা।
কর্মচারীরা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন হল এবং কিছু বিভাগে নতুন করে ৪১ জন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। যার মধ্যে একজনও দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত কর্মচারীদের মধ্যে থেকে নয়।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের নৈশপ্রহরী আলাউদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনে অটল রয়েছি। চাকরি স্থায়ী করার দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ এখান থেকে যাব না।’
এ বিষয়ে জানতে উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে গত ১৭ জুলাই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১৩ দিনের মতো অবস্থান ধর্মঘট পালন করে ছিলেন তারা।