চার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর এইচএসসি জয় - দৈনিকশিক্ষা

চার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীর এইচএসসি জয়

দৈনিক শিক্ষাডটকম, পাবনা |

চোখের আলো নিভে গেলেও অন্তরের আলো দিয়েই এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাবনার আলোকিত প্রতিষ্ঠান সিঙ্গা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের  চার দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। 

তাদের মধ্যে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামের চাঁদ আলী প্রামাণিকের ছেলে মো. আল আমিন হোসেন জিপিএ-২.৯২, একই উপজেলার চরতারাপুর গ্রামের ইসাহাক প্রামাণিকের ছেলে শাকিল প্রামাণিক জিপিএ-২.৮৩, সাঁথিয়ার আব্দুস সাত্তার মোল্লার ছেলে আব্দুস সবুর জিপিএ-২.৯০ এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার খায়েরহাট গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম জিপিএ-৩.৪২ পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এই শিক্ষার্থীরা পাবনার সিঙ্গা মানবকল্যাণ ট্রাস্টের সার্বিক খরচে আবাসিক শিক্ষার্থী হিসাবে পড়ালেখা করেন। এদের মধ্যে শিক্ষার্থী আল আমিন হোসেন ও রবিউল ইসলাম পাবনার দোগাছি উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে, আব্দুস সবুর শহীদ এম মনসুর আলী কলেজ থেকে এবং শাকিল প্রামাণিক ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।

শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের চোখের আলো নিভে গেছে। কিন্ত উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন জিইয়ে আছে। অন্যদের মতো তারাও স্বপ্ন দেখেন। তাই চোখের আলো নিভে গেলেও দৃঢ় মনোবল এবং অন্তরের আলোতেই তারা সফল হয়েছেন। তারা উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করবে বলে অনুভূতি ব্যক্ত করে।

ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান অধ্যাপক (অব.) আবুল হোসেন ও ভাইস চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর হোসেন জানান, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী, এতিম, দরিদ্র হতদরিদ্র ও অভিভাবকহীন ছেলেদের মানবকল্যাণ ট্রাস্টের নিজস্ব খরচে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসাসহ পড়ালেখা করানো হয়। প্রতিবছরই এই প্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি, এইচএসসি, ডিগ্রি, অনার্স ও মাস্টার্স পরীক্ষায় শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছেন।

প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে - dainik shiksha প্রাথমিকে ২০ হাজার শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হচ্ছে স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত - dainik shiksha স্কুল শিক্ষাকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বর্ধিত করা উচিত নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প - dainik shiksha নতুন পাঠ্য বইয়ে থাকছে শহীদ আবু সাঈদ ও মুগ্ধের বীরত্বগাথার গল্প শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের দুপক্ষের দফায় দফায় সং*ঘর্ষে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম! শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি - dainik shiksha শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে আছি ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো - dainik shiksha ইএফটিতে বেতন দিতে এমপিও আবেদনের সময় এগোলো কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037379264831543