দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : রাজশাহীর বাঘা ও বাগমারা এবং ফেনীর সোনাগাজীতে ৩টি ভোটকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে রাজশাহীর তিনটি কেন্দ্রে আগুন দেয়া হয়।
বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, উপজেলার জুতনশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের পরিত্যক্ত ভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে অবশ্য কেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। এ ছাড়াও উপজেলার আড়ানী ঝিনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রধান শিক্ষকের অফিসে আগুন দেওয়া হয় বলে জানান তিনি। এতে কিছু বই ও আসবাব পুড়ে গেছে। ওসি জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে বাগমারা উপজেলার গনিপুর বিদ্যালয় কেন্দ্রেও আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বাগমারা থানার ওসি অরবিন্দ সরকার জানান, রাতের বেলা দুর্বৃত্তরা কেন্দ্রে আগুন দিয়েছে। তবে এতে বড় ধরনের কোনো ক্ষতি হয়নি।
সোনাগাজীতে ভোটকেন্দ্রে আগুন
ফেনীর সোনাগাজীতে পেট্টোল ঢেলে ভোটকেন্দ্রে আগুন দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আগুন দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুনে স্কুলের অফিস কক্ষের সকল প্রশাসনিক কাগজপত্রসহ দুটি কম্পিউটার পুড়ে যায়। এ ছাড়াও শিক্ষক মিলনায়তনের কক্ষের আলমিরায় থাকা কিছু নথিপত্র ও চেয়ার-টেবিল পুড়ে যায়।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান এবং সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় আবদুল কাদের বলেন, চরসাহাভিকারী উচ্চ বিদ্যালয়টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার কথা রয়েছে। এ কেন্দ্রে ৫ হাজারের বেশি ভোট রয়েছে। নির্বাচনের দুদিন আগে ভোটকেন্দ্রে দুবৃর্ত্তের আগুন দেওয়া নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে কেউ স্কুলে অগ্নিসংযোগ করতে পারে। এ ছাড়া বিএনপি-জামায়াতের চলমান অসহযোগ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে নির্বাচন বানচালের জন্য ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টাও হতে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদঘাটনে বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন এবং স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির বিরোধকে মাথায় রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সুদ্বীপ রায়।
সোনাগাজী উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল হাসান জানান, ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে। ভোটের সময় নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে।