সরকারের একের পর এক উদ্যোগে সবার জন্য সহজ হচ্ছে শিক্ষালাভ। সেই ধারাবাহিকতায় মাধ্যমিক পর্যায়ের ৫৪ লাখ অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করতে সহায়তা দেবে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট।
এই ভাতাটি এখন থেকে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে বিতরণ করা হবে দেশের শীর্ষ মোবাইল ব্যাংকিং সংস্থা নগদ-এর মাধ্যমে।
এর আগে বেশ কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে এই ভাতা বিতরণ করা হলেও তাতে নানান বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। এখানে শৃঙ্খলা আনতে এবার শুধু নগদের মাধ্যমে এই সহায়তা বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
সম্প্রতি এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ থেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
টাকা পেতে অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা ইতিমধ্যে অনলাইনে আবেদন করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি এটি বিতরণের কার্যক্রম শুরু হবে।
সাভারের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র আল আমিন হোসেন এই ভাতা পাওয়ার খবরে খুবই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের পড়ালেখার জন্য এই টাকাটা খুব উপকারে আসবে। বাবা খুব কষ্ট করে আমার লেখাপড়া চালায়। এবার সবাই নগদে টাকা পাবে। নগদে টাকা তোলা খুব সহজ। তাই আমাদের জন্য এটা খুব ভালো হয়েছে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের এক পদস্থ কর্মকর্তা বলেন, গ্রাহক সংখ্যার বিবেচনায় নগদ এখন দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি। বর্তমানে তাদের নয় কোটির ওপরে নিবন্ধিত গ্রাহক আছে।
এই সহায়তা পাওয়ার জন্য মা–বাবা বা অভিভাবকের বার্ষিক আয় দুই লাখ টাকার কম হতে হবে। তাছাড়া সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডে কর্মরতদের সন্তানেরাও আর্থিক অনুদান পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন।
ভর্তি–সহায়তা পেতে শিক্ষার্থীদের ছবি, স্বাক্ষর, জন্মনিবন্ধন সনদ, অভিভাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র, নির্ধারিত ফরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশ থাকতে হবে।
সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৫ হাজার টাকা, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে ৬ হাজার টাকা এবং স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ১০ হাজার টাকা হারে ভর্তি–সহায়তা দেয়া হচ্ছে।