পূর্ব-বিরোধের জের ধরে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের ছাত্র ইসমাইল হোসেনকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার মামলায় তার দুই সহপাঠীসহ ছয়জনের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ (শিশু আদালত) শামসুল ইসলাম এই রিমান্ডের আদেশ দেন।
ইসমাইল হোসেন ফরিদপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল। এ ছাড়া সে রাজারবাগ স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক ছাত্র। আর রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো ইসমাইলের সহপাঠী শামস তাবরীজ শাফি ও মেজবাউন নবী তম্ময় এবং তাদের সহযোগী আল-মাহমুদ সিয়াম ওরফে প্রান্ত, মৃদুল ওরফে ফ্লেজান, হাসান ও হোসেন।
আজ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, শাহজাহানপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, রাজারবাগ স্কুলে পড়ার সময় শামস তাবরীজ শাফি ওমেজবাউন নবী তন্ময়ের সঙ্গে ইসমাইল হোসেনের বিরোধ ও ঝগড়া হয়। এ বিরোধের জের ধরে গত ১৮ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে শান্তিবাগের ৪০ নম্বর ভবনের সামনে ইসমাইলের ওপরে হামলা করে তারা। পরে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের কয়েকজনকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ইসমাইলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার ইসমাইলের বাবা মো. বেলায়েত হোসেন শাহজাহানপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।