কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় স্কুলছাত্রকে পাইপ দিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। কানে আঘাত পেয়ে দুদিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি আছে ওই ছাত্র।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের শোন্দহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মারধরের এ ঘটনা ঘটে।
সহপাঠীরা জানায়, দুপুরে বিদ্যালয়ে বন্ধুর সঙ্গে ঘুরছিল ওই ছাত্র। এ সময় বন্ধু নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ভাবি বলে সম্বোধন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই নারী শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দেয়। ভয়ে ওই বন্ধু বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যায়।
প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করলে একপর্যায়ে প্রধান শিক্ষক লোহার পাইপ দিয়ে তাকে কানে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যায় ছেলেটি। অন্য শিক্ষকরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) জোবাইদা ফারজানা জেরিন বলেন, কানের ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় ওই শিক্ষার্থী। সে এখন আশঙ্কামুক্ত। তবে পরিবারের লোকজন উন্নত চিকিৎসা করাবেন বলে বুধবার সকালে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
আহত ছাত্রের মা অভিযোগ করে বলেন, ‘অমানবিকভাবে আমার ছেলেকে মারধর করা হয়েছে। আমরা গরিব মানুষ বিচার কার কাছে চাইবো?’
মারধরের বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রশিদ চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আসলেই এটা দুঃখজনক ঘটনা। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।