ক্লাস চলাকালে নির্ধারিত সময়ে অনুপস্থিত থাকায় ঘিওরে মো. মাহিন (১৩) নামে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করেছেন শিক্ষক। গত বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের উত্তর তরা জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই ছাত্র উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের উত্তর তরা গ্রামের উজ্জ্বল মিয়ার ছেলে।
আহত ওই ছাত্র জানায়, ১০ মিনিট পরে ক্লাসে প্রবেশ করায় তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন ওই শিক্ষক। চিৎকার করেও শিক্ষকের অমানবিক নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি ওই ছাত্র।
ওই ছাত্রের বাবা উজ্জ্বল মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ধর্ম বিষয়ের শিক্ষক সাঈদ মিয়া মাহিনকে পিটিয়ে আহত করেছেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। পরে আহত অবস্থায় মাহিনকে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান।
অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সাঈদ মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তিনি বলেন, আমরা তো বিদ্যালয়েই ছিলাম তেমন কিছু হয়নি। তবে আমি শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়েছিলাম পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ঘিওর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, ঘটনাটি দুঃখজনক। বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ৯ আগস্ট দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে পরিপত্র জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।