দৈনিকশিক্ষাডটকম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিওপি ক্যাম্পে ডেকে নিয়ে শাহাদাত হোসেন নামে এক কলেজছাত্রকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে বিজিবির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে। গতকাল শুক্রবার সকালে জেলা শহরের বিশ্বরোড মোড়ের একটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ তোলেন মাদক মামলায় গ্রেফতার ওই কলেজছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। তাদের দাবি, শাহাদাত বিজিবির সোর্স ছিলেন।
তবে শাহাদাতকে সোর্স হিসেবে কাজে লাগানো এবং মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া।
শাহাদাত শিবগঞ্জ উপজেলার কাগমারী গ্রামের আব্দুর রশীদের ছেলে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি কলেজের স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শাহাদাতের ছোট ভাই শামীম আলী বলেন, ‘সীমান্তবর্তী এলাকায় বসতবাড়ি হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে বিজিবির সোর্স হিসেবে বিভিন্ন অপরাধের খবর দিয়ে সহায়তা করে আসছিলেন শাহাদাত। সম্প্রতি পড়াশোনা ও দাম্পত্য জীবনের ব্যস্ততা এবং এলাকার মাদক কারবারিদের চক্ষুশূল হওয়ায় সোর্সের কাজ থেকে বিরতি নেন তিনি। ১০ জানুয়ারি দুপুরে ফোন দিয়ে তাঁকে ক্যাম্পে ডাকেন ৫৯ বিজিবির রহনপুর ব্যাটালিয়নের সোনামসজিদ বিওপির সদস্যরা। এরপর ২ হাজার ৯৮৫ ইয়াবা, ১ হাজার ৫৬৫ গ্রাম হেরোইন, ১৫টি ফেনসিডিলসহ আটক দেখানো হয়।’ বিজিবির কথামতো কাজ না করায় শাহাদাতকে মাদক মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি তাঁর ভাইয়ের।
শাহাদাতের স্ত্রী বলেন, ‘আমার স্বামীকে ডেকে নিয়ে মিথ্যা, সাজানো মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।’
পরে গতকাল সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে বিজিবি কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া
জানান, চলতি পথে শাহাদাতকে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ আটক করা হয়েছে। তাঁর পরিবারের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শাহাদাত বিজিবি ও বিএসএফের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি।
শিবগঞ্জ থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন জানান, বিজিবির করা মামলায় শাহাদাতকে গত বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।