বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলায় ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা এক নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম জাকি তাজওয়ার। তিনি কোটা আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক খালেকুজ্জামান রাজা বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন।
জাকি তাজওয়ারকে ওই মামলার এজাহারে ১২ নম্বর আসামি করা হয়।
জাকি তাজওয়ার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক ছিলেন। জাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, জাকি তাজওয়ার বগুড়া জিলা স্কুলের ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি ব্যাচ এবং সরকারি আজিজুল হক কলেজের ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের এইচএসসি ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।
তার বাবা মাহতাব উদ্দিন বগুড়ার সরকারি আজিজুল হক কলেজের গণিত বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক।
জাকি তাজওয়ারকে যে মামলায় আসামি করা হয়েছে, ওই মামলার এজাহারে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার ছাড়াও বিএনপি-জামায়াতের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীসহ ৮৭ জনের নাম আছে।
এরমধ্যে কয়েকজন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছাড়া বগুড়ার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (বিআইআইটি) অধ্যক্ষ প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন সৈকত ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির (আইআইটি) পরিচালক সবুর শাহ লোটাসকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই বগুড়া শহরের সাতমাথায় জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর রাতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাকি তাজওয়ার।
পদত্যাগের ঘোষণা দিয়ে জাকি ফেসবুকে লেখেন, ‘... লুকানোর কিছু নেই। ছাত্রলীগের মিছিলে স্লোগানে পেয়েছেন। তারুণ্যের জয়গানে পেয়েছেন। কখনও কি সহিংসতায় দেখেছেন? আক্রান্ত হয়েছেন? আজ আমরা আক্রান্ত, আপনাদের সঙ্গে আক্রান্ত।
নীতি আর আদর্শের ভাষা এসব শেখায়নি। আমরা এ দেশের সন্তান। বড় করে বলি সূর্যসন্তান। আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে?’