মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতার মারধরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এক প্রধান শিক্ষক। তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। এ ঘটনায় হরিরামপুর থানায মামলা হয়েছে। পুলিশ শুক্রবার এক তরুণকে গ্রেফতার করেছে।
ওই শিক্ষকের নাম আলতাফ হোসেন খান। তিনি ইব্রাহিমপুর ঈশ্বরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
মামলা থেকে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক আলতাফের কাছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে চাঁদা দাবি করেন রবিন, হাবিবুল ইসলাম, সৌরভ, নয়ন, আমিনুল্লাহ ও তুষার হালদার। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর শুভ্র দত্ত হরিরামপুর অগ্রণী ব্যাংকে যাওয়ার পথে অতর্কিত হামলা চালান রবিন ও তাঁর অনুসারীরা। হামলায় মারাত্মক জখম হন প্রধান শিক্ষক ও ল্যাব সহকারী।
প্রধান শিক্ষক জানান, ধূলশুড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানজিদ মাহমুদ রবিন ও তাঁর অনুসারীরা বৃহস্পতিবার বিকেলে এ হামলা চালান। হামলায় তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান। হামলাকারীরা তাঁর ৫ হাজার ৫০০ টাকা, হাতঘড়ি, মোবাইল সেট নিয়ে যান। তাঁরা হুমকি দেন, বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে মেরে ফেলা হবে।
অভিযুক্ত রবিনের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এম এ সিফাত কুরাইশী সুমন জানান, শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ছাত্রলীগের কোনো নেতা হামলায় জড়িত থাকলে, তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
হরিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার আদিত্য জানান, ছাত্রলীগ নেতা রবিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হয়েছে। এর মধ্যে নয়ন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।