ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানার চাঞ্চল্যকর বাড়েরা ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আরমান আলী হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি মো. রুমানকে (২১) আটক করেছে র্যাব। ছাত্রলীগ নেতা আরমান হত্যার প্রায় নয় বছর পর আসামি আটক হলো।
গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ময়মনসিংহ শহরের বাড়েরা মসজিদ মার্কেট এলাকা থেকে আটক করে ময়মনসিংহ র্যাব-১৪। আসামিকে ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন জানান, স্থানীয় সূত্রের মাধ্যমে জানা যায় ভিকটিম ও আসামিরা পরস্পর আত্মীয় ও ভাগিশরিক। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আসামি মো. রুমানের বড় ভাই আলমগীর হোসেন (২৭) খুন হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। উভয় পক্ষের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেনকে কেন্দ্র করে মরাকুড়ি বাজারে দরবার বসে ও একপর্যায়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০ জুন দুপুরে আসামি রুমান ও তার লোকজন ভিকটিম আরমান আলীকে মসজিদ মার্কেটের সামনে একা পেয়ে পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। আশেপাশের লোকজন ভিকটিম আরমানকে গুরুতর আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম আরমান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঐদিন রাতে মারা যান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে, ভিকটিমের স্ত্রী পপি আক্তার বাদি হয়ে আসামী রুমানসহ আরো ১১ জনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার পর থেকেই আসামী মো. রুমান গ্রেফতার এড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে থাকে।
গোপন সংবাদে ভিত্তিতে র্যাব-১৪ এর একটি আভিযানিক দল গোপন রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সদরের বাড়েরা মসজিদ মার্কেট থেকে আসামি মো. রুমানকে আটক করে।
র্যাব জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও এ ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।