রাজবাড়ী সরকারি কলেজের বিদ্যাসাগর ছাত্রাবাসে গাঁজা সেবনের ঘটনায় ছাত্রাবাস শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ মোট সাতজনকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত সোমবার কলেজের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল মঙ্গলবার ওই সাতজনকে চিঠি দিয়ে বহিষ্কারের বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক ও কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অদ্বৈত কুমার দাস।
ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কৃতরা হলেন বিদ্যাসাগর ছাত্রাবাস ছাত্রলীগের সভাপতি পংকজ দাস, সাধারণ সম্পাদক অমিত বিশ্বাস, সহসভাপতি দিব্য রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সজল পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অমিত ঘোষ ও ছাত্রলীগের কর্মী হৃদয় বিশ্বাস ও সাহস বিশ্বাস।
গত ১৮ মার্চ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাঁজা সেবনের দুটি ভিডিও ভাইরাল হয়। একটি ভিডিওতে সভাপতি পংকজ একা। দ্বিতীয় ভিডিওটিতে সভাপতির সঙ্গে দুজন সহযোগী রয়েছে। এই ভিডিওটির সময় ৩৭ সেকেন্ডের। একটি পাকা ভবনের বড় কক্ষে পংকজ কলকে দিয়ে গাঁজা সেবন করছে। পাশে দুজন তাকে সহযোগিতা করছে। গাঁজা সেবনের একপর্যায়ে তিনি নিজের মাথায় থাপ্পড় দিচ্ছেন। ভিডিও দুটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই গাঁজা সেবনে জড়িত থাকায় সাতজনকে ছাত্রাবাস থেকে বহিষ্কার করা হয়।
রাজবাড়ী সরকারি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিদ্যাসাগর ছাত্রাবাসের তত্ত্বাবধায়ক অদ্বৈত কুমার দাস বলেন, বিষয়টি নিয়ে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদনে গাঁজা সেবনের বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
গত সোমবার দুপুরে কলেজে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ছাত্রাবাস থেকে সাত শিক্ষার্থীকে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ওই সাতজনের হাতে বহিষ্কারের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ছয়জনকে আগে থেকেই ছাত্রাবাসের বাইরে থাকতে বলা হয়েছিল। তদন্তে আরেক জনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় মোট সাতজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে।