স্কুলছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার ও বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা কালিমুল্যাহ দুজনের নাম উল্লেখ করে কুড়িগ্রামের রৌমারী থানায় এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই অভিযুক্তের নাম আশরাফুল ইসলাম (৪৫)। তিনি রৌমারী উপজেলার চতলাকান্দা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আশরাফুল ইসলাম ভুক্তভোগী ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উক্ত্যক্ত করে আসছেন। বিয়ের প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। ওই ছাত্রী স্কুলে যাওয়ার সময় আশরাফুল ও তার বন্ধু জয়নাল আবেদীন মিলে তাকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। পরে সালিশি বৈঠকে অভিযুক্তরা ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পায়। তবে কিছুদিন পরে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ছাত্রীকে তুলে নেওয়ার হুমকি দেন অভিযুক্তরা। পরে ছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আশরাফুল ইসলাম বলেন, বিয়ের জন্যে কথা হয়েছিল। কিন্তু ডিসটার্ব করিনি। ওই ছাত্রীর বাবা আমাদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘটক হিসেবে বিয়ের কথা ওই ছাত্রী ও তার পরিবারকে বলেছিলাম। কিন্তু তারা বিয়ে দেবেন না বলে জানিয়েছে। পরে আর এ সম্পর্কে কথা বলেনি। ছাত্রীর বাবা যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক নয়।
অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম দৈনিক আমাদের বার্তাকে বলেন, পারিবারিকভাবে মীমাংসা হয়েছে বলে শুনেছি। তিনি আরও বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় আর আসেনি।
রৌমারী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেছেন। তদন্তে সত্যতা পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।