মাদরাসায় পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) অপহরণ করে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মো. জাহাঙ্গীর আলম (৩২) নামে এক গৃহশিক্ষককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এস এম নুরুল ইসলাম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিত গৃহশিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম যশোর জেলার মনিরামপুর থানার ভরতপুর গ্রামের আব্দুল গণি সর্দারের ছেলে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার উত্তর তিলাই এলাকায় একটি বাড়িতে গৃহশিক্ষক হিসেবে থেকে এলাকার শিশুদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। ওই সময়ে তার বিরুদ্ধে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদরাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়। ওই শিক্ষার্থীর মা বাদি হয়ে ভূরুঙ্গামারী থানায় মামলাটি করেছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর আলম গৃহশিক্ষক হিসেবে কোরআন শিক্ষা দেয়ার সময় ওই ছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। বিষয়টি শিক্ষার্থী তার মাকে জানালে জাহাঙ্গীরকে সতর্ক করা হয়। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের ২ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থী মাদরাসায় গেলে ছুটির পর জাহাঙ্গীর তাকে বিয়ের কথা বলে ‘ফুসলিয়ে’ মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান। খোঁজাখুঁজির পর শিক্ষার্থীকে পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীর মা থানায় গিয়ে অপহরণের মামলা করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জামিনে থাকা জাহাঙ্গীর আলম মামলা চলাকালীন নিয়মিত আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষণার খবরে বুধবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইয়াসিন আলী।