বগুড়ার শিবগঞ্জে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত অভিযুক্ত সাইফুলের (২২) ফাঁসির দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। এ দিকে শরীরের ২৪ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। তার ডান হাতে গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সোমবার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাতটি কেটে ফেলতে হতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল বিকেলে ঢামেকের বার্ন ইউনিটে কথা হয় ভুক্তভোগী সেই ছাত্রীর বাবার সঙ্গে। ক্ষোভে-দুঃখে তিনি বলেন, ‘সাইফুল আমার মাইয়ার জীবন নষ্ট করছে। পোড়াইয়া মারতে চাইছে। আমি তার ফাঁসি চাই।’
স্বজনদের অভিযোগ, গত শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে একা ছিল ওই ছাত্রী। তখন বৃষ্টি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাড়ির দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকেন সাইফুল। ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে তার গলা টিপে ধরেন তিনি। এতে অচেতন হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে ধর্ষণ করেন সাইফুল। ছাত্রীর শরীরে জামা-কাপড় ও চটের বস্তা রেখে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনের তাপে চেতনা ফিরলে চিৎকার শুরু করে কিশোরী। পরে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করেন। সাইফুলকে আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এ ঘটনায় মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা। আর ছাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। হাতটি শেষমেশ রাখা যাবে নাকি কেটে ফেলতে হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’