মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে সাত বছরের মাদরাসাছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার লস্করপুর থেকে ওই শিক্ষককে আটক করা হয়। এর আগে ওই মাদরাসায় হামলা ও শিক্ষককে মারধর করে উত্তেজিত জনতা। ওই ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হামলায় নেতৃত্বে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, লস্করপুর হোসাইনিয়া কাসেমুল উলুম মাদরাসার কিন্ডারগার্টেন বিভাগের এক শিশু শিক্ষার্থীকে তিন দিন আগে যৌন হয়রানি করেন শিক্ষক মোহাম্মদ আলী (২৭)। শিশুটির অভিভাবকেরা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় হাঁসাড়া ইউপির সদস্য হারুন অর রশিদকে বিষয়টি জানান।
হারুন অর রশিদ আজ সকাল ৭টার দিকে লোকজন নিয়ে মাদরাসায় গিয়ে শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর খোঁজ করেন। এর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০০-৩০০ উত্তেজিত জনতা মাদরাসা ভাঙচুর শুরু করেন এবং শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে ধরে মারধর করেন। এ অবস্থায় মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ঘটনায় যৌন হয়রানির অভিযোগে শিশুটির অভিভাবক শ্রীনগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জয়দেবপুরের সালনা এলাকার বাসিন্দা।
মাদরাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মাছুম বিল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষক অপরাধী হলে তাঁর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইন অনুসারে বিচার হবে—এতে আমার দ্বিমত নেই। তিন দিন আগের ঘটনা, কিন্তু প্রতিষ্ঠানপ্রধান হিসেবে আমার কাছে কেউ কিছু বলেনি। সকালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদসহ বহু লোক এসে মাদরাসায় ভাঙচুর করেন এবং শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে মারধর করেন।’
হাঁসাড়া ইউপির সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, ‘বিষয়টি জানার পর মাদরাসায় গিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরিস্থিতি আমার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।’
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় শিক্ষক মোহাম্মদ আলীকে আটক করেছে। শিশুটির পরিবারের কাছ থেকে যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’