কলমাকান্দায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির মামলায় হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন পেয়েছেন সেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শান্ত। বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হাসানুজ্জামান। এর আগে মঙ্গলবার রফিকুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
জানা গেছে, ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ১টার দিকে শ্রেণিকক্ষে থাকা শিশুটির সহপাঠীকে বিদ্যালয়ের ছাদে শুঁটকি মাছ আনতে পাঠান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শান্ত। কিছুক্ষণ পর শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ভুক্তভোগী শিশুটিকে ছাদের ওপর থেকে তার সহপাঠীকে ডেকে আনতে বলেন। এ সময় শিক্ষকের কথা অনুযায়ী শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয় ওই শিক্ষার্থী। তার পিছু পিছু ছোটেন শিক্ষক রফিকুল। পরে বিদ্যালয়ের সিঁড়ির সামনে পৌঁছা মাত্রই শিশুটিকে জড়িয়ে ধরে যৌন হয়রানি করেন তিনি। মেয়েটি চিৎকার দিলে দ্রুত সটকে পড়েন অভিযুক্ত শিক্ষক। এ ঘটনায় গত ৮ অক্টোবর শিশুটির বাবা কলমাকান্দা থানায় মামলা করেন। বিষয়টি নিয়ে গত ১১ অক্টোবর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
শিক্ষক রফিকুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষ আমাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক মামলা করেছে। মঙ্গলবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছি।’
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বুধবার প্রতিবেদন হাতে পেয়েছি। তদন্তে যৌন পীড়নের সত্যতা পাওয়া গেছে।’