ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় একই বিভাগের এক শিক্ষকের পদোন্নতি তিন বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। ওই শিক্ষক নাম মুহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকী। তিনি শান্তি ও সংঘর্ষ বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, সহযোগী অধ্যাপক সাজ্জাদ সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে ওই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি। তাই তার তিন বছরের পদোন্নতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়েছে। যার ফলে তার অধ্যাপক হওয়ার সময়সীমা পূর্ণ হবার পরে, অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেতে আরো তিন বছর অপেক্ষা করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এর আগে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠলে সেটি অনুষদে কমিটি করে বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদনে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নির্যাতন বিরোধী সেলে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে যৌন নির্যাতন বিরোধী সেল ৩ বছরের পদোন্নতি স্থগিত ও পদাবনতির সুপারিশ করলে সিন্ডিকেট ৩ বছর পদোন্নতি স্থগিতের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ ডিসেম্বর সাজ্জাদ হোসেন সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে উপাচার্যের কাছে যৌন হয়রানির অভিযোগ দেন একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থী। পরে ওই বছরের ১৪ ডিসেম্বর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের তৎকালীন ডিন ড. সাদেকা হালিমকে আহ্বায়ক করে শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সাইফুদ্দীন আহমদ, বিভাগের তৎকালীন শিক্ষার্থী উপদেষ্টাসহ কয়েকজনকে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তারা অভিযোগ তদন্ত করে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে প্রতিবেদন জমা দেন। সেল বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে তাকে শাস্তি দেয়ার সুপারিশ করে।