রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগে পুলিশের একজন কনস্টেবলের নামে মামলা হয়েছে। সোহাগ হুসাইন নামের এই পুলিশ সদস্য বর্তমানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। তাঁর বাড়ি মানিকগঞ্জের শিবালয় থানার রঘুনাথপুরে। ‘আত্মহত্যা’ করা ছাত্রীর নাম লামিয়া আলম (২২)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সোহাগ চার বছর আগে গাজীপুর পুলিশে কর্মরত ছিলেন। ওই সময় লামিয়ার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
১১ ফেব্রুয়ারি সোহাগ বিয়ে করার কথা বলে লামিয়াকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে তাঁর বাসায় নিয়ে আসেন। পরে লামিয়াকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করে আত্মহত্যা করতে বলেন সোহাগ। এরপর গত বুধবার লামিয়া বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
মেয়েকে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অভিযোগ এনে গত শুক্রবার যাত্রাবাড়ী থানায় সোহাগের নামে মামলা করেন লামিয়ার মা মনজু বেগম।
যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মফিজুল আলম গতকাল বলেন, ‘সোহাগ পালিয়েছেন। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’