ডামুড্যা উপজেলার মীর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে দাঁড় করিয়ে রেখে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর মোস্তফার মেহমানদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধের দিনেও শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রেখে এ ধরনের সংবর্ধনা দেয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, শুক্রবার ঢাকার বাসাবোর উন্মুক্ত শরীর চর্চা কেন্দ্র থেকে ১৫/২০ জনের একটি দল ডামুড্যা উপজেলার চরপাতালিয়া গ্রামের মীর মোস্তফার বাড়িতে আনন্দ ভ্রমণে আসেন।
মীর মোস্তফা স্থানীয় মীর আব্দুল মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। তাই সভাপতির নির্দেশনা মোতাবেক পূর্ব থেকেই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন দুপুর দেড়টা থেকে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের মাঠে এনে রৌদ্রে দাঁড় করিয়ে রাখেন। মীর মোস্তফার মেহমানগণ তার বাড়িতে দুপুরের খাবার শেষে বিকেল ৪টায় বিদ্যালয়ের মাঠে আগমন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা আনন্দ ভ্রমণে আসা মেহমানদের শুভেচ্ছা জানায়। এরপর ওই মেহমানগণ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিতে ও মঞ্চে অবস্থান করলে শিক্ষার্থীদেরকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিভাবক আব্দুল জলিল মিয়া, হাসেম মিয়া ও তপন মিয়া এবং ডামুড্যা উপজেলা শিক্ষক নেতা আলমগীর হোসেন, সুজিত কর্মকার, আব্দুর রহিম, আব্দুস সালাম, এমদাদ হোসেনসহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্কুল বন্ধের দিন শিক্ষার্থীদের এভাবে মাঠে এনে রোদে দাঁড় করিয়ে রেখে এ ধরনের সংবর্ধনা দেওয়া ঠিক হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেজবাউদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
আয়োজক সহকারী প্রধান শিক্ষক মোয়াজ্জেম হোসেন মুঠোফোনে বলেন, আমার কি করার আছে, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশনা মোতাবেক দায়িত্ব পালন করেছি। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মীর মোস্তফাকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিবা খান মুঠোফোনে বলেন, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে দিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।