পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার সিংহখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজে জন্মতারিখ পরিবর্তন করে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে নৈশপ্রহরী পদে চাকরি ও এমপিও ভোগ করার অভিযোগ উঠেছে মো.শাহজাহান নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগ আমলে নিয়ে তা তদন্ত শুরু করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। সোমবার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ তদন্ত করেছেন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মো. শাহেদ শাহান।
মো.শাহজাহানের চাচাতো ভাই সিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক মো. আলমগীর হোসেন তহশিলদার তার বিরুদ্ধে বয়স গোপন করে এমপিওভোগ করার অভিযোগ তুলেছেন।
তিনি লিখিত অভিযোগে জানান, শাহজাহান আদৌ লেখাপড়া করেননি। তার জন্ম ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে। কাগজে কলমে তার জন্মতারিখ ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পরিবর্তন করে ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে তাকে ৮ম শ্রেণি পাস দেখানো হয়েছে। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে তিনি চাকরি গ্রহণ করে এখনো কর্মরত আছেন। তার ৭ বছরের ছোট, একই বাড়ির মো. আলমগীর হোসেন ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে অবসর গ্রহণ করেন। এছাড়া একই বাড়ির চাচাতো ভাই রুহুল আমিন বিন হাসিম (গ্রুপ ক্যপ্টেন), আল আমিন বিন হাসিম (খোকন), নুরুল আমিন বিন হাসিম (ফারুক) ইতোপূর্বে অবসর গ্রহণ করেছেন। এরা সবাই তার বয়সে ছোট। অথচ নৈশপ্রহরী মো. শাহজাহানের এখনও প্রায় ৭ বছর চাকরির মেয়াদ আছে। তার পরিচয় পত্রসহ যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই বাছাইসহ ডাক্তারি পরীক্ষায় (ডিএনএ টেস্টে) প্রকৃত জন্ম তারিখ বের হয়ে আসবে।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি রুহুল আমিন বিন হাসিম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এ ঘটনায় তদন্তের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একজন সহকারী পরিচালক সোমবার তদন্তে এসেছেন। নৈশপ্রহরীর নিয়োগ সংক্রান্ত সব ডকুমেন্ট তার কাছে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, তার ৮ম শ্রেণির সনদের সঙ্গে জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয় পত্রের সঙ্গে মিল আছে।
তদন্ত কর্মকর্তা মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, নৈশপ্রহরী মো.শাহজাহানের জাতীয় পরিচয় পত্রসহ সব কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে এসব কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে সঠিক রিপোর্ট দেয়া হবে।
অভিযুক্ত মো. শাহজাহান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আমার বিরুদ্ধে অসত্য অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তার কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছে।