জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২০১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৬তম সিন্ডিকেট সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবীর চৌধুরী।
এর আগে গত ২৪ জুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ কমিটির সভায় এই বাজেট সুপারিশ করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সিন্ডিকেট সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
এবারের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত মূল বাজেট ২০১ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে সংশোধিত ঘাটতি বাজেটসহ বরাদ্দ ছিলো ১৮৭ কোটি টাকা। এবার প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা।
এর মধ্যে ঘাটতি বাজেট ৩৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বরাদ্দ করা টাকা মোট ১৬৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা।
এবার বাজেটে ইউজিসি গবেষণা বাবদ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মাত্র ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে, এর মধ্যে ১ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পিএইচডি গবেষণায়। গবেষণায় বরাদ্দ মূল বাজেটের মাত্র ২ দশমিক ৪৬ শতাংশ।
বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত ২০১ কোটি টাকার সিংহভাগ ব্যয় হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাবদ।
মূল বাজেটের ১১৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় হবে এই খাতে। যা মূল বাজেটের ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খরচে ব্যয় হবে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। গতবার জ্বালানিতে বরাদ্দ ছিলো ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ইউজিসি কর্তৃক ব্যয় সীমা ছিলো ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা খাতে বরাদ্দ ছিলো মাত্র ৭ লাখ টাকা। এবার ৩ লাখ টাকা বেড়ে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ হাজার শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জন্য যা একেবারেই সামান্য।
এ ছাড়া শরীরচর্চাকেন্দ্র ও খেলাধুলাখাতে বরাদ্দ মাত্র ২৫ লাখ, যা গতবার ছিলো ২০ লাখ। ফিন্ড ওয়ার্ক শিক্ষা সফরে ৩ লাখ টাকা বেড়ে এবার বরাদ্দ ১৫ লাখ টাকা। এদিকে অনুষ্ঠান ও উৎসব ভাতাদি বাবদ বরাদ্দ মাত্র ৩৫ লাখ টাকা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা খাতকে আরো সমৃদ্ধ করতে বাজেটে আরো বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড.আনোয়ার হোসেন বলেন, গবেষনায় ইউজিসির কাছে আমাদের চাহিদা আরো অনেক বেশি ছিলো। কিন্তু সেই তুলনায় কম বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এটা সামান্য পরিমাণ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, বাজেটে খাতভিত্তিক বরাদ্দ বেড়েছে। আমাদের আরো বেশি প্রত্যাশা ছিলো কিন্তু সেটা সমন্বয় করতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার কথাও বিবেচনা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বরাদ্দ বেড়েছে।