বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন এস এম আকতার। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইনের কাছে অভিযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২৩ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার আমন্ত্রণ জানাতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের কাছে যান সনাতন ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগরে ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জয় শর্মা ও তার সতীর্থদের সঙ্গে অহেতুক চড়াও হন এবং ধর্ম নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে হিন্দু ধর্মালম্বী শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, ছাত্রলীগ নেতা এস এম আকতার হোসাইনের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষপ্রসূত উক্তি ছাত্রলীগের ভাবমূর্তিকে ক্ষুণ্ন করার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিরুদ্বচারণ করেছেন। একই সঙ্গে ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে যাতে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে সেজন্য জয় শর্মাকে নানানভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান তারা।
ভুক্তভোগী জয় শর্মার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমরা বিভাগের পক্ষ থেকে অন্যান্য সহপাঠীরাসহ আকতার ভাইকে পূজার দাওয়াত কার্ড দিতে গিয়েছিলাম। তখন কিছু বুঝে ওঠার আগেই অকথ্য ভাষায় গালি দেন এবং ধর্ম তুলে বাজে মন্তব্য করেন। পরে আমরা তাৎক্ষণিক বিষয়টি সহকারী প্রক্টর মাহি স্যার ও নিউটন স্যারকে জানিয়েছি। তারা বিষয়টি নিয়ে একদিন বসবেন বলে জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, আমরা এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি বরাবর অভিযোগ দিয়েছি। ইতিমধ্যে তাদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বসাতে চেয়েছেন। তারা কি ব্যবস্থা নেন তা আগে দেখবো। তারপর আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেবো।অভিযোগ অস্বীকার করে জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। ছাত্রলীগের সম্মান নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা অভিযোগ ছড়ানো হয়েছে। পুজার দুইদিন আগে থেকেই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মণ্ডপগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেছি। ছাত্রলীগর সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রক্ষায় কাজ করে, ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ায় না।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।