দৈনিক শিক্ষাডটকম, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের চিলমারীতে অধিগ্রহণ না করেই ব্যক্তি মালিকানা জমির উপর জোরপূর্বক সেতু নির্মাণের অভিযোগ ওঠেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের (এলজিইডি) বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে বারবার অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি। উল্টো মামলা-হামলার ভয় দেখাচ্ছে ঠিকাদারের লোজজন। আর সেতু নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জমির মালিকরা কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেও লাভ হয়নি ।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাত্রখাতা গ্রামের সংযোগ সেতু নতুন করে নির্মাণ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়। প্রকল্পের নাম রংপুর বিভাগ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (আরডিআইআইপি), আরসিসি গর্ডার ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৬৮ মিটার। রাস্তার আইডি-১৪৯০৯৪০১৯। অভিযোগকারী রেজাউল করিমের রেকর্ডকৃত জমির মৌজা- পাত্রখাতা, জেএল নং ১৫, দাগ নং ৩১৩৫, সীট নং-২। ইতিমধ্যে এই জমির মধ্যে সেতুর পিলার স্থাপন করা হয়েছে। খালের প্রস্থের চেয়ে সেতুর দৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় তার জমির প্রায় ৯ শতাংশ জমি সেতুর মধ্যে পড়েছে এবং একটি অখন্ড জমি সেতু দ্বারা খন্ডিত হয়েছে। এ নিয়ে সেতু নির্মাণের শুরুতে একাধিকবার কুড়িগ্রাম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে জমির মালিক রেজাউল করিম লিখিত অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। সর্বশেষ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করলে গত ৩১ জুলাই ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে সহকারী কমিশনার স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন। এরই পরিপেক্ষিতে সাবেক চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহাবুবুর রহমান তদন্ত করেন। এরপর জমি অধিগ্রহণ না করে জোরপূর্বক সেতুটির কাজ শুরু করে এলজিইডি।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. ফিরোজুর রহমান বলেন, সাবেক ইউএনও স্যার জমির মালিকের সাথে কথা বলে সমাধান করেছেন। এ বিষয়ে স্যারের সাথে কথা বলবো।
এ বিষয়ে লালমনিরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সাবেক ইউএনও মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সেতুটি সরকারি জায়গায় করা হচ্ছে। ওই জমির মালিকের রাস্তায় কিছু অংশ পড়েছে। এজন্য তার জমি অধিগ্রহণ করার দরকার পড়ে না।
এ বিষয়ে এলজিইডির কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুজ্জামান বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ বিষয়ে কিছু জানি না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।