দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস জাতীয় ঈদগাহে জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু না আনতে মুসল্লিদের অনুরোধ জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র বলেন, ঈদের দিন জাতীয় ঈদগাহে আসতে হলে, মুসল্লিদের জায়নামাজ ও ছাতা ছাড়া অন্য কিছু না আনতে অনুরোধ জানানো হলো, তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে। যদিও কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কোনো রকম ডিভাইস আনা যাবে না।
এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) হাবিবুর রহমান বলেছেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। নেয়া হয়েছে ৫স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তবে শুধু এ ঈদগাহ ময়দানই নয়, ঢাকার সব মসজিদে নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। কোনো রকম জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা নেই।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ডিএমপি কমিশনার বলেন,
ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহ মাঠ ও ১৪৮৮ মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি, বোম ডিসপোজাল টিম, ফায়ার সার্ভিস ও মেডিকেল টিমও রয়েছে। কোনো রকম জঙ্গি তৎপরতার আশঙ্কা নেই।
তিনি আরও বলেন, পাহাড়ে আতঙ্ক ছড়ানো কেএনএফের সদস্যরা রাজধানীতে ঢোকার কোনো তথ্য নেই। তবুও তাদের বিষয়টি মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত জাতীয় ঈদগা মাঠ। নারী পুরুষসহ এবারও একসাথে ৩৫ হাজার মুসল্লি নামাজে অংশ নিতে পারবেন। জাতীয় ঈদগাহ ময়দান জুড়ে সাজসাজ রব। চলছে শেষ সময়ের সাজসজ্জার কাজ। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায়।
মাঠের মূল অংশে ১২১টি কাতারে মধ্যে ৫১টি কাতারে নারীরা অংশ নিতে পারবেন। ২৫ হাজার ৪০০ বর্গমিটার আয়তনের মূল প্যান্ডেলে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের জামাত আদায় করতে পারবেন। এছাড়া ঈদগাহের বাইরে পুরো এলাকাজুড়েপ্রায় ৭০ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
বরাবরের মতো এ ঈদ জামাতে মন্ত্রী-সচিবসহ রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা অংশ নিবেন। এবার ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টায়। তবে আবহাওয়ার প্রতিকূল থাকলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় শুরু হবে ঈদের প্রধানজামাত।
ঈদ জামাতে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন ইমাম এবং বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের মুয়াজ্জিন ক্বারী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান ক্বারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।