স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো জাতীয়করণসহ একগুচ্ছ দাবিতে সপ্তম দিনের অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন মাদরাসা শিক্ষকরা।
রোববার (২৫ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে শিক্ষকদের পক্ষে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষক সমিতি।
এ সময় বক্তারা বলেন-১৯৭৮ অডিনেন্স ১৭ (২) ধারা অনুযায়ী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে রেজি. প্রাপ্ত হয়। মাদরাসাগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সরকারি একই সিলেবাসে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মতো ইবতেদায়ি ৫ম শ্রেণি শিক্ষার্থী আগে সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ও বর্তমানে ৫ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।
অথচ মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২২-৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পায়। কিন্তু ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের জাতীয়করণ তো দূরের কথা এমপিওভুক্ত করা হয়নি। বক্তারা বলেন- ১ হাজার ৫১৯টি ইবতেদায়ি বাদে বাকি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা ৩৭ বছর যাবৎ বেতন ভাতা হতে বঞ্চিত।
আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ২ মাসের মধ্যে দাবিগুলো বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দেন। কিন্তু সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের ২ বছর হলেও আজও কোনো দাবি বাস্তবায়ন হয়নি। তাই আমরা এই দাবিগুলো বাস্তবায়ন চাই।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো: ১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাবিষয়ক গবেষণাগার থেকে স্ট্যাডি রির্পোটের আলোকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ করা। ২. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার নীতিমালা-২০১৮ বাস্তবায়ন করণ। ৩. স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার পাঠদানের অনুমতির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করণ। ৪. রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত কোডবিহীন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলো মাদরাসা বোর্ডের কোডের অন্তর্ভুক্তকরণ। ৫. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসায় ১ জন অফিস সহায়কের পদ সৃষ্টিকরণ। ৬. প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার অবকাঠামো ও ভবন নির্মাণকরণ।
বক্তারা অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে একদফা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোকে জাতীয়করণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।