জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশন রাজশাহী জেলা কমিটির আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন থেকে বাংলাদেশ বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা কমিটির নেতারা উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ও দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
এতে জেলার ১১টি কালেজ থেকে আসা শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, কোটা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে আবু সাঈদসহ সব শহীদের মাগফিরাত কামনা ও আহতদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যেই উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির বিষয়ে জটিলতা দূরীকরণ, বিগত সময়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে গভর্নিংবডি গঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে উপাচার্য রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন।
নেতারা আরো বলেন- এ ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত থাকুক, তদন্ত সাপেক্ষে তাদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানাচ্ছি।
বক্তারা প্রধান উপদেশ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, শিক্ষা উপদেষ্টাসহ সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এসব অপরাধীদের আইনের আওতায় না আনা হলে রাজপথে বড় কর্মসূচি দেয়া হবে। মানববন্ধন শেষ রাজশাহী জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জেলা কমিটির সভাপতি সানোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক জালাল হোসেন।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন ওয়ালী মোহাম্মদ ওলী, মো. মেহেদি হাসান, বিশ্বজিৎ কুমার, মো. আসরাফুল আলম, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. নুরুল বাসার, মো. তোতা মোল্লা, মো. নাজমুল হক, মো. এনামুল হক, রাকসানা খাতুন প্রমুখ।