দৈনিকশিক্ষাডটকম ডেস্ক : নতুন বছরের প্রথম দিনে স্থানীয় বিকেল ৪টার পর ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে জাপানের নতো অঞ্চলের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারে। সেই ভূমিকম্পের পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১ জনে।
ইশিকাওয়া প্রশাসনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, অঞ্চলটিতে ভূমিকম্পে নিহত মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬১ জনে। নিহতের সংখ্যা বাড়ায় অঞ্চলটিতে নিখোঁজের সংখ্যা কমেছে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত নিখোঁজের সংখ্যা ১৯৫ জন থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১০৩ জনে।
এর আগে গত ১ জানুয়ারি বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের দিকে জাপানের নতো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার এই ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই সুনামির আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেন স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অবশ্য ভূমিকম্পের মাত্রা বলা হয়েছে ৭ দশমিক ৪।
পরবর্তী কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ১৫৫ বার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। জাপানের মিটিওরোলিজক্যাল এজেন্সি (জেএমএ) জানিয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৬, অপর একটি ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬। এ ছাড়া বাকি ভূমিকম্পগুলোর প্রায় সবই ছিল রিখটার স্কেলে ৩ মাত্রার ওপরে। সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও কমে এসেছে। তবে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার সকালের দিকেও বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছে জেএমএ।
জাপানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকের বরাত দিয়ে দেশটির সংবাদমাধ্যম জাপান টাইমস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই স্থানীয় ইশিকাওয়া, নিগাতা, তোয়োমা ও ইয়ামাগাতা প্রিফেকচারের উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তাদের দ্রুত উপকূল ছেড়ে উঁচু এলাকায় সরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
ভূমিকম্পের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, রাজধানী টোকিও থেকেও এর কম্পন অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্পের ১০ মিনিটের মধ্যেই ১২ ফুট উচ্চতার একটি ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে দেশটির ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের ওয়াজিমা বন্দরে