জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলায় বিবাদের জেরে মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে আহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জন দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পাঠানো হয়েছে।
রাত পৌনে ১১টার দিকে জাবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. রিজওয়ানুর রহমান, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদ হাসান শাহ চৌধুরী ও ডা. অভিতাভ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত হয়ে তাদের কাছে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন শিক্ষার্থী এসেছেন। তাদের মধ্যে ১০ থেকে ১২জনের অবস্থা গুরুতর হওয়া সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য, বটতলা এলাকায় হল দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ইট-পাটকেল বিনিময় হয়। এসময় উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা বটতলার কয়েকটি খাবার দোকান ভাঙচুর করেন।
জানা যায়, জাবিতে চ্যান্সেলর কাপ ফুটবল খেলায় মওলানা ভাসানী হল এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের ম্যাচে রেফারির ঘোষিত অফসাইডকে অমান্য করে গোল উদযাপন করে একটি দল। এতে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন হল দুইটির শিক্ষার্থীরা। এ বিবাদের রেশ ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থেকে হল দুটির শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে— রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম হল দুটি পরিদর্শন করেছেন। এসময় তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে সাভারের বেসরকারি হাসপাতালে যাবেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
হল পরিদর্শন শেষে উপাচার্য বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব নয়। দুই হলের মধ্যকার ঘটনা। ঘটনাটি শোনামাত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখেছি। ঘটনাটি নিয়ন্ত্রণে থাকায় তাদের আর ভেতরে আসতে হয়নি। আহতের দেখতে এখন হাসপাতালে যাবো। আহতের চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনায় আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ৪ থেকে ৫টি গুলি ছোড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য বলেন, ‘প্রক্টর বিষয়টি দেখছেন। অভিযুক্তকে খুঁজে বের করা হবে।’