জাবিতে ছাত্র আন্দোলনে হা*মলাকারী আলফাকে আটক করলো শিক্ষার্থীরা - দৈনিকশিক্ষা

জাবিতে ছাত্র আন্দোলনে হা*মলাকারী আলফাকে আটক করলো শিক্ষার্থীরা

দৈনিক শিক্ষাডটকম, জাবি |

গত ১৪-১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় মদদদাতা একজনকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় মীর মশাররফ হোসেন হলে নিজের জিনিসপত্র নিতে আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সোপর্দ করে৷ 

আটককৃত শিক্ষার্থী ফয়সাল আলিম আলফা গণিত বিভাগের ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী। তিনি এতোদিন মীর মশাররফ হোসেন হলে অবৈধভাবে অবস্থান করে আসছিলেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে যায়, গত ১৫ই জুলাই হামলার পর থেকে এই গণঅভ্যূত্থানকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে আলফা ক্রমাগতভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে আসছিলেন। এছাড়া আলফা ফেসবুকে বিভিন্ন ফেইক আইডি খুলে আন্দোলনকরীদের হুমকি দেন, আন্দোলনকে থামানোর জন্য। তিনি নিজ জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য পদে এখনো বহাল রয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আটককৃত এই শিক্ষার্থী হলে মাদক সেবন ও মাদক সিন্ডিকেটের সদস্য ছিল৷ 

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, প্রথমে হলের শিক্ষার্থীরা আলফাকে আটক করে হলের গেস্ট রুমে নিয়ে এসে প্রক্টরকে ফোন দেওয়া হয়৷ এরআগে, ৫ই আগস্টের পর থেকে তাকে বলা হয়েছিল যেন হলের এদিক না আসে। এরপরও সে কথা না শুনে গোপনে হলের সামনে কয়েকবার আসে এবং হলে থাকা শুরু করে। তার এই আসা এবং হলে থাকা সন্দেহজনক মনে হয়েছে। এছাড়া ৫৩ ব্যাচের উসকানিমূলক কাজে জড়িত থাকার কারণে তাকে আটক করে গেস্ট রুমে নিয়ে আসা হয়।

মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহমুদুর রহমান বলেন, আলফার বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ পেয়েছি। জুলাইয়ের হামলার সমর্থনকারী হিসাবে থাকায় শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে আলফা হল ত্যাগ করে৷ পরবর্তীতে আলফা আবারও আসলে শিক্ষার্থীরা তাকে আটক করে ও গেস্টরুমে রাখে এবং বিষয়টি আমাকে জানায়। পরে সাথে সাথে প্রক্টর অফিসে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সাড়ে ৩টায় দিকে ফোন পেয়ে আমরা এখানে আসি। এখন আমরা তার নিরাপত্তায় অফিসে নিয়ে যাচ্ছি৷ এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা - dainik shiksha পাঠ্যবইয়ের কাগজের বার্স্টিং ফ্যাক্টর কমানোর ধান্দায় মুদ্রাকররা বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান - dainik shiksha বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ না পাওয়া শিক্ষকদের তথ্য আহ্বান কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ - dainik shiksha শিক্ষক শূন্যপদের তথ্য সংগ্রহে ফের ই-রেজিস্ট্রেশনের সুযোগ ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম - dainik shiksha ববি উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আল্টিমেটাম এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় - dainik shiksha এসব কিন্তু শিক্ষার্থীদের কাজ নয় প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো - dainik shiksha প্রাথমিকের দুই ফুটবল টুর্নামেন্টের নাম বদলে গেলো please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037121772766113