জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় চার ছাত্রকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার ও জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। যারা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী বলে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
এছাড়া দুই শিক্ষার্থীকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয়েছে। যাদের মধ্যে একজন শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, আরেকজন সক্রিয় কর্মী।
বার্তা সংস্থা ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিকে মারধর করায় সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিন্ডিকেট সদস্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিনুর রহমান সুমনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ, ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের তাওসিফ সারারকে (তুনান) ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ছয় মাসের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাঈম হোসেনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের বহিষ্কারাদেশ এবং নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী হৃদয় রায়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও তিন মাসের বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়েছে।
অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ হোসাইন জিদানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আবদুল্লাহ আল আদনানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই সিন্ডিকেট সদস্য।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাস্তি পাওয়া সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
গত ২১ অগাস্ট রাতে এই হলের সামনে ছাত্রলীগের কর্মীদের হাতে মারধরের শিকার হন বার্তা সংস্থা ইউএনবির বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আসিফ আল মামুন।
হলের গেস্টরুমে ছাত্রলীগের সবার ভিডিও করছেন এ সন্দেহে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় তিনি একই হলের আবাসিক ছাত্র ও সাংবাদিক পরিচয় দিলে তাকে আরেক দফা মারধর করা হয়।