জাবির গ্রন্থাগারে ফ্যান পড়ে শিক্ষার্থী আ*হত - দৈনিকশিক্ষা

জাবির গ্রন্থাগারে ফ্যান পড়ে শিক্ষার্থী আ*হত

জাবি প্রতিনিধি |

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে চলন্ত অবস্থায় সিলিং ফ্যান খুলে পড়ে এক শিক্ষার্থী আহতে হয়েছেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১টার দিকে লাইব্রেরির ২য় তলায় এই ঘটনা ঘটে। আহত ওই শিক্ষার্থীর নাম আনিসুর রহমান। তিনি ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী। এসময় পাশে থাকা একজন শিক্ষার্থী অল্পের জন্য রক্ষা পায়। 

লাইব্রেরিতে কর্মরত প্রবীণ কর্মচারীদের সূত্রে জানা যায়, ৮০'র দশক থেকে চলছে লাইব্রেরির এই ফ্যানগুলো। এত বছরের পুরোনো এই ফ্যানগুলোর বেহাল দশা দীর্ঘদিনের। তবুও বছরের পর বছর ঝুঁকি নিয়ে লাইব্রেরিতে নিয়মিত পড়াশোনা করছেন শিক্ষার্থীরা। এর আগেও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের মার্চে লাইব্রেরি ভবনের নিচতলায় চলন্ত ফ্যান খসে পরে একজনের মাথা ফেটে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

বছরের পর বছর এসব মান্ধাতার আমলের ঝুঁকিপূর্ণ ফ্যান দিয়েই চলছে লাইব্রেরির কার্যক্রম। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার দূর্ঘটনার শিকার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট সহযোগীতা চাইলেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি, বরং শুধু দায়সাড়া আশ্বাস দিয়েছে বলে দাবি সাধারণ শিক্ষার্থীদের। 

পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা নিপা বলেন, আমার এবং পাশের ভাইয়ের মাঝখানে ফ্যানটা পড়েছে। ঘুরতে ঘুরতে পড়ায় ওনার মাথায় পাখা লেগেছে। কয়েক সেন্টিমিটারের ব্যবধানে আমি বেঁচে গিয়েছি। অনেক ভয় পেয়েছিলাম। আল্লাহ বাঁচিয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, লাইব্রেরিতে আমরা সবাই পড়তে যাই, মরতে নয়। নিচে বসে এত উপরে ফ্যানের অবস্থা জানা তো সম্ভব না। মান্ধাতার আমলের এই ফ্যানগুলো সংস্কার না করলে যে কেউ এই দূর্ঘটনার শিকার হবে। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ প্রত্যাশা করছি। 


 
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন বলেন, লাইব্রেরিতে ফ্যান পড়ে যাওয়ার ঘটনা আজকে নতুন না। লাইব্রেরির ফ্যান লাইট সবকিছুরই মেইন্টেনেন্স জরুরি হয়ে পড়েছে। অনেক ফ্যান ঠিকমতো ঘুরেই না, অনেক জায়গায় লাইটের অভাব। আবার বিদ্যুৎ গেলে জেনারেটরের  সমস্যা, জেনারেটরও চলেনা। লাইব্রেরির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যে বাজেট হয় সেটার যথাযথ ব্যবহার হলে এমনটা হওয়ার কথা নয়।

এ বিষয়ে লাইব্রেরির অতিরিক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, আজকের দুর্ঘটনার পর আমরা তৎক্ষণাত বিষয়টি নিয়ে কোষাধ্যক্ষ ম্যাডামের সাথে বসেছিলাম। সেখানে আমরা প্রায় ৬০টি ফ্যান এবং ৭০টি লাইট পরিবর্তন করার উদ্যোগ নিয়েছি। এক্ষেত্রে ফান্ডিংয়ের বিষয়েও কথা চূড়ান্ত হয়েছে। মেরামতের জন্য লাইব্রেরি ২ দিন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা - dainik shiksha পুরনো পদ্ধতিতে ফিরছে বৃত্তি পরীক্ষা শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে - dainik shiksha শিক্ষায় কী হলো তিন মাসে মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী - dainik shiksha মাদরাসায় চলে যায় প্রাথমিকের ২৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের - dainik shiksha অবশেষে কপাল খুললো পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে বাদপড়াদের শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি - dainik shiksha শিক্ষক নিবন্ধন ভাইভা: ১৫তম দিনে যেসব প্রশ্নের মুখোমুখি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা - dainik shiksha গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! - dainik shiksha দপ্তরসহ সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রীকে চালাতেন পিয়ন! ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! - dainik shiksha ৬১০ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর শিক্ষা অধিদপ্তরে নিয়োগ চূড়ান্ত! দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0029702186584473