জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ফজিলাতুন্নেছা হলে গভীর রাতে জানালা ভেঙে কয়েকটি কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। টাকা, ঘড়ি, ব্যাগ ও জুতাসহ বেশকিছু জিনিস নিয়ে গেছে চোরেরা।
গতকাল রোববার (২৫ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৩টার দিকে হলটির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে হলটি পরিদর্শনে আসেন প্রভোস্ট অধ্যাপক এটিএম আতিকুর রহমান। তিনিও চুরির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফজিলাতুন্নেছা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ফাতেমা তমা বলেন, “শীতকালীন ছুটি চলমান থাকায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী বাড়িতে চলে গেছে। অল্পসংখ্যক ছাত্রী থাকায় আমরা অনেকে অন্যের রুমে কয়েকজন মিলে ঘুমিয়ে ছিলাম। গভীর রাতে আমার রুমে জানালায় মোবাইলের টর্চলাইটের আলো দেখতে পেয়ে ‘কে কে’ বলে উঠি। এসময় জানালার পাশ থেকে একটি পুরুষ কণ্ঠের আওয়াজ আসে ‘চুপ আপু, ভয় পায়েন না’। সঙ্গে সঙ্গে রুম থেকে বের হয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের জাগিয়ে দেই এবং গার্ড মামাদের বিষয়টি বলি। ঘুমের ঘোরে এসব শুনেছি বলে গার্ড মামারা পাত্তাই দেয়নি। এরপর শিক্ষার্থীরা নিজ রুমে ফিরে দেখেন টাকা, ঘড়ি, ব্যাগ ও জুতাসহ বেশকিছু জিনিস চুরি হয়েছে।”
হলের আরেক আবাসিক শিক্ষার্থী মুমু বলেন, ‘রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে আমি জানালার কাচে আঘাতের শব্দ পাই। বিড়াল বা এজাতীয় কিছু কাচে আঘাত করছে বলে ভেবেছিলাম। পরে চুরির ঘটনা জানতে পারি। আমরা এখন আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।’
হলটির শিক্ষার্থীরা জানান, গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে আরও দুটি কক্ষে একইভাবে চুরির ঘটনা ঘটে। সেসময় বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়।
তারা অভিযোগ করে বলেন, তাদের হলের বিভিন্ন কক্ষের দরজা ও জানালা ভাঙা রয়েছে। নতুন হলে তাদের সিট দেওয়া হবে বলে এগুলো ঠিক করা হচ্ছে না। একই কারণে হলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনও বন্ধ আছে। এ সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটছে।
এ বিষয়ে ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বাইরে থেকে আসা কোনো চোর নয়, ভেতরেরই কেউ হয়ে থাকবেন। হলের নিরাপত্তা জোরদারে আমরা ব্যবস্থা নেবো।