জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম বলেছেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের জীব বৈচিত্র্য রক্ষা এবং ভৌত অবকাঠামোগত উন্নয়নের সমন্বয় করে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হচ্ছে। এই মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশীজনের সঙ্গে আলাপও করা হবে।
শুক্রবার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার আয়োজনে প্রজাপতি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে প্রজাপতি মেলা উদ্বোধন করা হয়।
উপাচার্য আরো বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ-প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন সব ধরনের চেষ্টা করছে। পরিবেশ-প্রকৃতি ভালো থাকলে মানুষ ভালো থাকবে। উপাচার্য প্রকৃতির সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার রক্ষার জন্য সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে প্রজাপতি মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, সবকিছু নিয়ে আমাদের পরিবেশ। প্রজাপতি এই পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পরাগায়নের মাধ্যমে প্রজাপতি পরিবেশ ও প্রকৃতি এবং বনাঞ্চল রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। পরিবেশের ছোট্ট প্রাণিটিকে ভালবাসতে হবে।
তিনি বলেন, আগে বাংলাদেশে সাড়ে চারশ প্রজাতির প্রজাপতি লক্ষ করা যেত। সেই সংখ্যা এখন কমে এসেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০ প্রজাতির প্রজাপতি লক্ষ করা যেত। এই সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে কমছে। তিনি প্রজাপতি রক্ষায় এর বাসযোগ্য পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন মৌসুমী টয়লেট্রিজের চেয়ারম্যান রাজিব উদ্দিন আহমেদ, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা মুকিত মজুমদার বাবু, বার্ড ক্লাবের সভাপতি ইনাম আল হক, বন সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, আইইউসিএনের সারোয়ার আলমসহ অনেকে। অনুষ্ঠানে প্রকৃতি সংরক্ষণে বিশেষ অবদানের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলামকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ৩জনকে মিডিয়া এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মেলায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কুইজ, বক্তৃতা, প্রজাপতি বিষয়ক বির্তক প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির ডকুমেন্টারি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।