ধূমপান করতে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দুই শিক্ষার্থীর সঙ্গে বহিরাগত কয়েকজন যুবকের মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ মোট তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) রাত আটটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খাবার হোটেলে এ ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। পরে বহিরাগত এক যুবককে তুলে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হলের সামনে বেধড়ক মারধর করে ওই হলের শিক্ষার্থীরা।
আহতরা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র আসিফ উর রহমান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের মৃন্ময় দাস। তারা উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী। এছাড়া বহিরাগত ফুরকান হোসেন জয় সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন অফিসের এক কর্মচারীর ছেলে। আহতদের রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মৃন্ময় ও আসিফ বান্ধবীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন একটি দোকানে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। একই দোকানে বন্ধুদের সাথে বসে ধূমপান করছিলেন ফুরকান হোসেন জয়। এ সময় জয় ও তার বন্ধুদের ধূমপান করতে নিষেধ করেন মৃন্ময় ও আসিফ।
এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে জয় তার বড় ভাইসহ (সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী) স্থানীয় কয়েকজন যুবককে ডেকে এনে আসিফ ও মৃন্ময়কে মারধর করেন।
এরপর ঘটনাটি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ সময় অন্য বহিরাগতরা পালালেও জয় সেখানে থেকে যান। তারা জয়কে মারধর করে হলে ধরে নিয়ে আসেন। পরে জয়ের অভিভাবক আসলে দু'পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়। এ সময় বঙ্গবন্ধু হলের আসিফের নেতৃত্বে একদল শিক্ষার্থী মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে জয়কে বেধড়ক মারধর করে।
মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, 'আমি এসে দেখি হলের সামনে এমন ঘটনা। তবে আমি হলের ভেতরে কাউকে ঢুকতে দেইনি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল বডি এসে বিষয়টি সমাধান করেছে।'
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ.স.ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, 'ঘটনাস্থলে এসে পুরো বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাটি প্রথমিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। পরে উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত আইন অনুযায়ী সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।'