প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (২৯ অক্টোবর) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দিন এ আদেশ দেন।
রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে একটি সাদা মাইক্রোবাসে করে গোয়েন্দা কার্যালয় থেকে আদালতের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে বহনকারী গাড়িটি রাত ৮টায় সিএমএম আদালতে পৌঁছায়। এ সময় ফখরুলকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
অপরদিকে মির্জা ফখরুলের পক্ষে অ্যাডভোকেট মহসীন মিঞা, অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক ফারুকীসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বাসায় এসে সিসি ক্যামেরার ডিভাইস নিয়ে যায়। তার ১০ মিনিট পর বাসায় গিয়ে মির্জা ফখরুলকে আটক করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, অসুস্থ একজন মানুষকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না।
উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে শনিবার (২৮ অক্টোবর) মহাসমাবেশ ডাক দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর রোববার হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। অপরদিকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শান্তি উন্নয়ন ও সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ। একইদিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠা ও দলের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ অন্য নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবিতে মতিঝিলের আরামবাগ এলাকায় সমাবেশ করে উচ্চ আদালতের আদেশে নিবন্ধন হারানো জামায়াতে ইসলামী। তারাও আজ হরতালের ডাক দেয়।