নওগাঁর আত্রাই থানার সুদরানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক মো. শারিফুল ইসলাম (৪৪) জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে চাকরি করছেন। তার সনদটি জাল বলে ইতোমধ্যে প্রমাণ পেয়েছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। এ পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র নাথ সাহা।
সহকারী শিক্ষক মো. শারিফুল ইসলাম ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাস থেকে এমপিওভুক্ত আছেন। সে হিসেবে তিনি জাল সনদে ১১ বছরের বেশি সময় এমপিওভোগ করেছেন। গত ৫ জানুয়ারি তার সনদটি যাচাই করে তা জাল বলে যাচাই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিলো এনটিআরসিএ।
গত ১৮ মে জাল সনদধারী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে তা প্রধান শিক্ষককে পাঠানো হয়েছিলো। সে পরিপ্রেক্ষিতে গত শনিবার আত্রাই থানায় মামলা দায়ের করেছেন প্রধান শিক্ষক।
এনটিআরসিএর সনদ যাচাই প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম দ্বিতীয় শিক্ষক নিবন্ধনে উত্তীর্ণ দাবি করে সহকারী মৌলভীর যে সনদটি জমা দিয়েছেন তার প্রকৃত মালিক ইখতিয়ার উদ্দিন। মো. শরিফুল ইসলামের সনদটি সঠিক নয়। তাই তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করতে বলেছিলো এনটিআরসিএ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তেজনন্দী গ্রামের জয়নুল হকের ছেলে মো. শারিফুল ইসলাম (সহকারী শিক্ষক : ইসলাম শিক্ষা ইনডেক্স নম্বর ১০৬৮২২৮) ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জুলাই এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেন এবং ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ১ নভেম্বর এমপিওভুক্ত হন। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে এমপিও ভোগ করে আসছে। বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অভ্যান্তরীন নিরিক্ষা শাখা থেকে গত ১৮ মের চিঠি ও গত ২৩ মে আত্রাই উপজেলা শিক্ষা অফিসের নির্দেশ মোতাবেক এবং গত ১ জুন ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক অমরেন্দ্র নাথ সাহা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, চিঠি হাতে পাওয়ার পর বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শারিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে এর আগে জানুয়ারিতে এনটিআরসিএ থেকে পাঠানো চিঠিটি তিনি পাননি বলে দাবি করেন।
মামলা দায়ের হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ তারেকুর রহমান সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সে মোতাবেক গত শনিবার মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।