সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও ন্যায় বিচারের দাবিতে যৌথ উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছেন লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন, মানবাধিকার উন্নয়ন কেন্দ্র এবং সিভিক রাইটস অ্যালায়েন্সের।
বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও দুপুরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বক্তারা এসময় বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একটি নতুন মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়ে শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের সহযোগিতার আহ্বান জানান তারা।
সাম্প্রতিক আন্দোলনে নিহত এবং আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও ন্যায় বিচার এবং শিশুদের অধিকারসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন লিডোর নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন। হিউম্যান রাইটস ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের বোর্ড মেম্বার সিরাজুল হক সীমান্ত। এনআইএমএইচ এর প্রফেসর ডাক্তার মো. দেলোয়ার হোসেন। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট গাজী তামিম। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শহিদুল ইসলাম আকন। গণস্বাস্থ্য নগর হসপিটালের প্রফেসর শাখাওয়াত আরমানসহ অনেকে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ করে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট আব্দুল মোমেন চৌধুরী বলেন, যারা নতুন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছে তারা আপনাকে দেশের গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছে, তাদের কথা মনে রাখুন, তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করুন। শহীদ পরিবারের প্রতি একটু করুণা করুন আহত বিপ্লবীদের চিকিৎসা বন্দোবস্ত করুন। একটি মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করে একজন উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিন যিনি শহীদ ও আহত বিপ্লবীদের ব্যাপারে কাজ করবেন।
তিনি আরো বলেন, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে হাসিনার অর্থনৈতিক পাচারের ওপর শ্বেতপত্র তৈরির ভার দিয়েছেন। বিপ্লবী শহীদ ও আহত বিপ্লবী সহযোদ্ধার ব্যাপারে কেনো শ্বেতপত্র নয়?
আলোচনা সভায় হিউম্যান রাইট ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের বোর্ড সদস্য সিরাজুল হক বলেন, আমাদের তথ্য অনুযায়ী দুই হাজারের অধিক নিহত হয়েছেন। আহতদের সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। যারা আহত হয়েছেন তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা জরুরি কিন্তু অন্তর্বতীকালীন সরকার সেটি এখনো করতে পারছে না। নিহতর প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিন এবং একজন করে চাকরির ব্যবস্থা করে দিন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হসপিটালের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর শহিদুল ইসলাম আকন বলেন, ৫ আগস্টে ঢাকা মেডিক্যালের অবস্থা ছিলো খুবই করুণ, সেদিন আমরা আহতদের সূচিকিৎসা দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওপর মহল থেকে আমাদের ওপরে অনেক চাপ থাকায় আমরা যথাযোগ্য চিকিৎসা দিতে পারিনি। আমাদের তথ্য মতে ঢাকা মেডিক্যাল থেকে আনুমানিক দুই হাজারের ওপরে মৃত্যু সনদ দেয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেক পরিবারকে সরকারের উচিত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেয়া। এবং আহতদেরকে সুচিকিৎসা সহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়া। ঢাকা মেডিক্যালে এখন অবধি ৫০ জনের মতো চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।