জোর করে গণভবনে নেয়া হয়েছিলো সাঈদের পরিবারকে - দৈনিকশিক্ষা

জোর করে গণভবনে নেয়া হয়েছিলো সাঈদের পরিবারকে

দৈনিক শিক্ষাডটকম, রংপুর |

রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদের পরিবারকে জোর করে গণভবনে নেয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তার ভাই রমজান আলী। 

শনিবার (১০ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস রংপুরে সাঈদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরে সাঈদের ভাই সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। রমজান আলী বলেন, ড. ইউনূস আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি আমাদের পাশে আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন।

গত ১৬ জুলাই পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাঈদ। ২৮ জুলাই গণভবনে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদস্যরা। আন্দোলনে নিহত আরও কয়েকজনের পরিবারের সদস্যকে সেদিন গণভবনে আনা হয়।

আবু সাঈদ রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বাবনপুর জাফরপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে। তিনি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ১২ ব্যাচের ছাত্র এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে পীরগঞ্জের জাফরপাড়া বাবনপুর গ্রামে সাঈদের কবর জিয়ারত শেষে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। পরে রমজান আলী বলেন, শেখ হাসিনা জোর-জবরদস্তি করে ডেকে নিয়ে গেছে, আর ইনি (দায়িত্বে) আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বাসায় আসছেন। এটাতো আমাদের সৌভাগ্য।

সাঈদের বাবা বলেন, ছেলের নামে সরকারি হাসপাতাল চেয়েছি, যাতে মানুষ বিনা মূল্যে ওষুধ পায়। রাস্তা, কলেজের নামকরণ করতে বলছি। ছেলের হত্যার বিচার চাইছি। উনি সব করবেন বলে কথা দিছেন। শুধু আজ না, সব সময় পাশে থাকবেন। উনি অনেক ভালো মানুষ।

সাঈদের বোন সুমি আক্তার বলেন, 'আমার ভাইকে যে হত্যা করেছে তার ফাঁসি চাইছি। এর পেছনে যারা আছে, যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের ফাঁসি চাইছি। আমার ভাইয়ের মতো যারা আন্দোলনে মারা গেছে, তারা যেন ন্যায্য বিচার পায়।

গত ১৬ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পার্ক মোড়ে পুলিশ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ১৭ জুলাই বাবনপুরে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয় তাকে। আবু সাঈদকে প্রকাশ্যে গুলি করার দৃশ্য দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সারা দেশে আন্দোলন জোরদার হয়।

বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রকাশ - dainik shiksha বেসরকারি শিক্ষকদের বদলির নীতিমালা প্রকাশ জোর করে গণভবনে নেয়া হয়েছিলো সাঈদের পরিবারকে - dainik shiksha জোর করে গণভবনে নেয়া হয়েছিলো সাঈদের পরিবারকে ইন্টারনেট শাটডাউনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: নাহিদ - dainik shiksha ইন্টারনেট শাটডাউনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: নাহিদ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে ভিকারুননিসা ছাত্রীরা - dainik shiksha অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে ভিকারুননিসা ছাত্রীরা ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে - dainik shiksha ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলো যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কলেজে ভর্তি: চতুর্থ ধাপের আবেদন শুরু আজ - dainik shiksha কলেজে ভর্তি: চতুর্থ ধাপের আবেদন শুরু আজ ইসলামী ব্যাংকের সামনে গো*লাগু*লি, আহ*ত ৫ - dainik shiksha ইসলামী ব্যাংকের সামনে গো*লাগু*লি, আহ*ত ৫ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0062439441680908