ঝালকাঠিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলন আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। সৈয়দ মিলনের স্ত্রী সৈয়দা মারিয়া আক্তার বাদি হয়ে রোববার সকালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর কামাল শরীফসহ ৩৯ জনের নামে মামলাটি করেন।
মামলায় অজ্ঞাত আরো ১২০ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ অভিযান চালিয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর ফরাজীকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন সরকার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে আগে থেকেই বিরোধ ছিলো। এরই জের ধরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত সৈয়দ মিলনের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ নভেম্বর সকালে ঝালকাঠি শহরের পোস্ট অফিস সড়কে অবরোধ বিরোধী মোটরসাইকেল মহড়ার সময় যুবলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনসহ সাতজন গুরুতর আহত হয়। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফের সঙ্গে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা সৈয়দ হাদিসুর রহমান মিলনের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে যুবলীগ সূত্রে জানা গেছে।