গত কয়েক বছরে সংস্কার হয়নি ঝালকাঠি পৌরসভার বেশির ভাগ রাস্তাঘাট। এর মধ্যে ১৬টি সড়কে খানাখন্দে বেহাল দশা। ফলে চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় সড়কগুলো। অগণিত খানাখন্দে সড়কে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনাও। এ যেনো মরণ ফাঁদ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঝালকাঠি পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের রিডরোড ও স্ট্যান্ড রোড, একই ওয়ার্ডের সুতালড়ি, ১ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের ব্র্যাক মোড় থেকে পৌরসভার সীমানাসহ বেশক‘টি সড়কের বেহাল দশা। বছরের পর বছর ধরে এই সব সড়কগুলোতে সংস্কার কাজ না হওয়ায় মরে গেছে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও।
কোথাও আবার বৃষ্টি আর পানি বৃদ্ধিতে নদী আর রাস্তা এক হয়ে যায়। পৌর শহরে এমন অনেক সড়ক রয়েছে যেখানে রিকশাসহ ছোট ছোট যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। মোট ১৬টি সড়কেই এমন দুর্ভোগ নাকাল পৌরবাসী। ভারি বৃষ্টির পানিতে রাস্তায় ভোগান্তি এখন কিছু কিছু এলাকার বাড়ি ঘরেও পৌঁছে গেলে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি কিংবা জোয়ারে পানি দোকানপাট ও বাড়ি ঘরেও ঢুকে পড়ছে। নিয়মিত পৌরকর দিয়ে আসলেও বছরের পর বছর এমন দুর্ভোগে পৌরবাসী এখন চরম বিক্ষুব্ধ।
শহরের পৌরসভার খেয়াঘাট এলাকার সুভাষ বিশ্বাস বলেন, পৌরসভার মাত্র এক গজের মধ্যেই এমন বেহাল সড়ক কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতাকেই প্রমাণ করছে। প্রতিবছরই শুনে আসছি রাস্তা হবে। কিন্তু শেষমেষ আর হয় না।
শহরের স্ট্যান্ড রোড এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তার পানি ঘরে ঢুকে যায়। এভাবে আর কতোদিন ভোগান্তি পেতে হবে?
রিপন মল্লিক নামে শহরের আরেক যুবক বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় নাগরিক সুবিধা বলতে আমরা কিছুই পাই না। অথচ নিয়মিত ট্যাক্স দিতে হয়।
নাগরিক ভোগান্তির এসব কথা স্বীকার করে ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী অলক সমাদ্দার বলেন, সড়কগুলো মেরামত করার জন্য উপকূলীয় শহর জলবায়ু সহিষ্ণু প্রকল্পসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। কয়েকটি অনুমোদন হয়েছে। তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবগুলো কাজ শেষ করা যাবে বলে আশ্বাসও দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৭০ হাজার লোকসংখ্যার প্রথম শ্রেণির ঝালকাঠি পৌরসভায় মোট পাকা সড়ক রয়েছে ২১ দশমিক ৭০ কিলোমিটার। এর মধ্যে প্রায় পুরোটাতেই চরম বেহাল দশা।