প্রশিক্ষণের পর কোনো শিক্ষক টিচার্স গাইড (টিজি) ছাড়া ক্লাসে গেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসাথে কোনো শিক্ষক সনাতনী পদ্ধতি পাঠদান করতে পারবেন না। যদি কেউ তা করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। সাতক্ষীরার সদর উপজেলায় জাতীয় শিক্ষাক্রম বিস্তরণের লক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী অকুপেশনাল স্কিল কোর্সের শিক্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ন চন্দ্র মন্ডল এসব কথা বলেন।
এ সময় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কোহিনুর ইসলাম, প্রশিক্ষক সুব্রত কুমার ঘোষ, আছিয়া খাতুন, সিরাজুম মুনিরসহ সকল প্রশিক্ষণার্থী ও শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ জুন সকালে সাতক্ষীরা নবারুণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন করা হয়। কর্মশালায় জীবন ও জীবিকা এবং আইসিটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ হয়। আইসিটি বিষয়ে চারদিনব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শেষ হয় গত বৃহস্পতিবার। আর গতকাল শুক্রবার শেষ হয়েছে জীবন ও জীবিকা বিষয়ের প্রশিক্ষণ।
সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর এবং জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড ঢাকা’র ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রশিক্ষণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক আপাতত জীবন ও জীবিকা এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের উপর উপজেলার সকল মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ২২৭ জন শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় মোট ১৩ জন প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।