সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অপরাধে একজন শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সৌদি আরব। দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়াদ আল-কারনি আইন বিভাগের একজন অধ্যাপক ও রাজনৈতিক সমালোচক। আদালতের নথিতে বলা হয়েছে, একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করায় ও হোয়াটসঅ্যাপে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ তথ্য শেয়ার করার অভিযোগে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের সেপ্টেম্বরে আওয়াদ আল-কারনিকে গ্রেফতার করা হয়। সৌদি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে আল-কারনিকে একজন বিপজ্জনক ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আল-কারনির বিরুদ্ধে অভিযোগের নথিগুলো থেকে দেখা যায়, প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের রাজত্বের শুরু থেকেই সাম্রাজ্যের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রশংসা করা এক ভিডিওতে অংশগ্রহণের অভিযোগে তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আল-কারনির টেলিগ্রাম ব্যবহার ও একটি টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট তৈরি করাও অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত ছিল।
মানবাধিকার কর্মী ও নির্বাসনে থাকা সৌদি রাজতন্ত্রের বিরোধীরা জানিয়েছেন, সৌদি সরকারের সমালোচকদের বিরুদ্ধে নতুন ও কঠোর নির্যাতন চালাচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান