দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : অমর একুশে বইমেলার দ্বিতীয় দিন পাঠক ও দর্শনার্থীদের পদচারনায় মুখর ছিলো বইমেলা। শুক্রবার শিশুপ্রহর উপলক্ষে জমজমাট ছিল শিশুচত্বর। জনপ্রিয় শিশুতোষ ধারাবাহিক সিসিমপুরের টুকটুকি, হালুম, ইকরি ও শিকুদের সঙ্গে মেতেছিছেন শিশুরা।
এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড়ও বাড়তে থাকে মেলায়। স্টল ও প্যাভিলিয়নগুলোতে বই কিনতে দেখা যায় পাঠক ও ক্রেতাদেরকে। মেলায় আটটি প্রবেশ পথের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ও বাংলা একাডেমি প্রান্তের গেটে অধিক জনসমাগম লক্ষ্য করা যায়। বিক্রয়কর্মীরা জানান, সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও সে তুলনায় বেচাকেনা বাড়েনি। দিন যত গড়াবে ক্রেতার সংখ্যা তত বাড়তে থাকবে বলে প্রত্যাশা করেন তারা।
নতুন বই কেনার ফাকে শিশুপ্রহর জমজমাট হয়ে ওঠে সিসিমপুরের আয়োজনে। গানের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদেরকে নানা শিক্ষামূলক বার্তা দেয় সিসিমপুরের চরিত্ররা।
সিসিমপুরের ইকড়ি, হালুম, শিকুকে কাছ থেকে দেখে উচ্ছ্বসিত পাঁচ বছর বয়সী শিশু আনিসা বলেন, আমি ইকড়ি, হালুম, শিকুকে দেখেছি। আমি খুব খুশি। তাদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি যেমন বেশী করে বই পড়তে হবে, শাক-সবজি খেতে হবে।
বাচ্চাদের সঙ্গে নিয়ে বইমেলায় আসা আমিনুল হক বলেন, সিসিমপুরের আয়োজনটির জন্যই বাচ্চা নিয়ে এসেছি। এই চরিত্রগুলোকে ওরা টিভির মধ্যে দেখে। সামনে যখন ওরা এটা দেখবে, এটা অবশ্যই ওদের উদ্বুদ্ধ করবে। শিশুদের মেধাবিকাশ এবং আনন্দে দেয়ার পাশাপাশি মোবাইল আসক্তি দূর করার জন্য একটা চমৎকার একটা মাধ্যম।
এদিন সকালেই শিশু চত্বরে সিসিমপুর মঞ্চ উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশকে বই পড়ার বাংলাদেশে পরিণত করতে চাই। আমরা বই পড়ে বাংলাদেশকে বই পড়ার দেশে পরিণত করতে পারবো, সারা বিশ্বকে বই পড়ার বিশ্বে পরিণত করতে পারবো। সারা পৃথিবীকে একটি দেশে পরিণত করতে হলে বই পড়তে হবে।
শিশুদের উদ্দেশ্যে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক আরো বলেন, শিশুদেরকে জন্মের পর থেকেই শব্দ শেখাতে হবে। সিসিমপুর কিন্তু কোন বিশেষ ভাষার শব্দ নয়। সারা পৃথিবীর ভাষার একটি শব্দ। সিসিম হচ্ছে একটি গুহা। এই গুহাতে যদি তোমরা ঢোকো তাহলে দেখতে পাবে, সারা পৃথিবীর জ্ঞান ভান্ডার তোমার সামনে উন্মুক্ত হবে। এই বইমেলা সারা পৃথিবীর রহস্যের একটি গুহা বিশেষ।
এর আগে মাসব্যাপী এ মেলায় সপ্তাহের শুক্র ও শনিবার দুদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুদের জন্য থাকবে বলে জানায় বাংলা একাডেমি। এই সময়টাকে তাই শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।