ময়মনসিংহে ডাকাতি করতে গিয়ে শিক্ষক হত্যা মামলায় পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সুদীপ্তা সরকার এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন পাগলা থানার সাফত আলীর দুই ছেলে আ. রশিদ ও আ. রাশিদ, রজব আলীর ছেলে আবুল বাসার, সেকান্দার আলীর ছেলে মো. জিন্নাহ ও সিরাজ উদ্দিনের ছেলে মো. রাসেল।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার নথির বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গফরগাঁও উপজেলার বাশিয়া গ্রামের শিক্ষক মাহবুবুল আলমের সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্তদের পূর্ব বিরোধ ছিল। পূর্ব বিরোধের জেরে মাহবুবুল আলমের বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১২ খ্রিষ্টব্দের ১৯ এপ্রিল শিক্ষকের বাড়িতে হামলা করে তাকে হত্যা করেন। এ ঘটনার দুইদিন পর (২১ এপ্রিল) নিহত শিক্ষক মাহবুবুল আলমের স্ত্রী হেনা পারভীন বাদী হয়ে গফরগাঁও থানায় মামলা করেন।
অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার সঞ্জু আরও বলেন, ১৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় পাঁচ আসামির উপস্থিতিতে বিচারক রায় ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় হত্যা মামলা ও রাতের আধারে বাড়ি ঘরে হামলার মামলায় পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক। দুটি রায়ের সাজা একসঙ্গে চলবে বলেও জানান তিনি।