দৈনিক শিক্ষাডটকম, নীলফামারী: নীলফামারীর ডিমলায় একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দুইজন এমপিওভুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও ভুয়া সনদের মাধ্যমে চাকরি করার অভিযোগে তদন্ত করছে জেলা শিক্ষা অফিস।
অভিযুক্তরা হলেন-সহকারী শিক্ষক (পণ্ডিত) সাবিত্রী রানী রায় ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) বিশ্বনাথ রায়।
গত সোমবার সরেজমিন পরিদর্শন করেন তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। কমিটির আহ্বায়ক হলেন ডিমলা উপজেলা একাডেমিক সুপার ভাইজার আমির বোরহান ও সদস্য জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার মো. বাচ্চু মিয়া ও সহকারী পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ডালিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (পণ্ডিত) ও সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) দীর্ঘদিন ধরে ভুয়া ও জাল সনদ দিয়ে চাকরি করে আসছেন।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) বিশ্বনাথ রায় বলেন আমাকে সামাজিকভাবে সম্মানহানি করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে। আমি তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে আমার তথ্য তুলে ধরেছি।
অপর সহকারী শিক্ষক (পণ্ডিত) সাবিত্রী রানী রায় বলেন, পারিবারিক সম্যস্যাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যেতে আমার আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করা হচ্ছে।
ডালিয়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) শহিদা আকতার বলেন, অভিযোগের তথ্য অনুযায়ী তদন্তকারী কর্মকর্তরা তদন্ত করেছেন। এ সময় অভিযুক্ত দুই শিক্ষক ও শিক্ষক-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নিয়োগকালীন আমি কোনো দায়িত্বে ছিলাম না।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ের সঠিক তথ্য তুলে ধরতে তদন্ত করা হয়েছে। তাদের সরেজমিন তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।